সোমবার রাতে (২২ ফেব্রুয়ারি) দেশে আসছে আরও ২০ লাখ টিকা। সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে এসব টিকা আনছে বেক্সিমকো ফার্মা।
সোমবার রাত ১১টা ১০ মিনিটে ভারতের স্পাইজেড বিমানের একটি ফ্লাইটে এই টিকা আসবে বলে বেক্সিমকো ফার্মা সূত্র জানিয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (টিকাদান) ডা. শামসুল হক ২০ লাখ ডোজ টিকা আসার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপন গণমাধ্যমকে বলেছেন, একুশে ফেব্রুয়ারি ও রবিবার হওয়ায় দুই দেশেই সরকারি ছুটি ছিল।
এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি নিজে টিকা নেওয়ার পর ২২ তারিখ টিকার দ্বিতীয় চালান আসার কথা জানিয়েছিলেন নাজমুল হাসান পাপন। ওই দিন তিনি বলেন, চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে সেরাম ইনস্টিটিউটের ৫০ লাখ ডোজ টিকা পাঠানোর কথা থাকলেও এবার কম আসছে। ২০ থেকে ৩০ লাখ ডোজ আসবে।
এদিকে রবিবার সেরাম ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা আদর পুনেওয়ালার একটি টুইট ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। টুইটে তিনি লিখেছেন, বিদেশি সরকার এবং রাষ্ট্রীয় নেতাদের জানাচ্ছি- ধৈর্য ধরতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি উৎপাদন বাড়াতে।
সরকার ভারতের গ্রহীতাদের ভ্যাকসিন আগে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ফলে আমরা আমাদের সরবরাহ ভারতের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখছি প্রাথমিকভাবে। সেরামের কোভশিল্ড ব্রাজিল, মেক্সিকো, বাংলাদেশে সরবরাহ হচ্ছে।
অন্য দেশেও যাচ্ছে। ৩ কোটি ডোজ করোনার টিকা পেতে ৫ নভেম্বর সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা পাঠানোর কথা।
দেশে টিকার প্রথম চালান আসে ২৫ জানুয়ারি। এর আগে উপহার হিসাবে বাংলাদেশে পাঠানো ভারত সরকারের ২০ লাখ টিকা পৌঁছায় ২১ জানুয়ারি। এ টিকা পাওয়ার পর সরকার ২৭ জানুয়ারি দেশে প্রথম টিকা প্রয়োগ শুরু করে। ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় গণটিকা কার্যক্রম।
এস এস